Conversation

Srijit Kumar Bhadra

অমানবিককরণ

প্রথমে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং পরে ইজরায়েল-গাজার যুদ্ধ আমার মনের মধ্যে প্রচন্ড প্রভাব ফেলেছে। আমার জীবদ্দশায় এর আগের যুদ্ধগুলো এতটা আমাকে মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত করে নি। ছোটবেলায় ইরান-ইরাক যুদ্ধের কথা বেশ মনে আছে। পরবর্তীকালে ইরাকের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধেরও খোঁজ-খবর রাখতাম। এরপর আফগানিস্তানে প্রায় দু দশক ধরে বোমাবর্ষণ হলো। এই বিষয় জারলাস্ট হালাইমজাই আফগানিস্তানে এই ক্রমাগত যুদ্ধের জন্য ওনার মেয়েবেলার কষ্টের কথা, যন্ত্রণার কথা লিখেছেন এবং বলেছেন। কিন্তু ওনার বক্তব্য কতজনের মনে দাগ কেটেছে?

কিন্তু ২০২২-২০২৩এ পৌঁছেও আমি দেখলাম যে মানুষ ইতিহাসের পাতায় যেমন আদিম ছিলো, বাস্তবে প্রায় সেরকমই রয়ে গেছে। মানুষ যে এখনো এতটা নৃশংস এবং এতটা বর্বর, সেটা আমার ছোটবেলায় কল্পনার বাইরে ছিলো। হিংস্রতার এই বিভীষিকা দেখার জন্য বিজ্ঞান আর কলায় এই তথাকথিত অগ্রগতি কোন প্রয়োজন ছিলো না। আজ কটা দেশের সরকার শপথ নিয়ে বলতে পারবে যে তারা মানবাধিকারে বিশ্বাস করে এবং সঠিক অর্থে মেনে চলে? একই কথা বলা যায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের ক্ষেত্রে। ওই আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোটাই বেশি স্বাভাবিক।

অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী নিজেদের প্রজাতিকে নানা কারণে হত্যা করে। কিন্তু মানুষের মতো নির্মম ভাবে গণহত্যা করা তাদের পক্ষে কি সম্ভব?

আমাদের মধ্যে মানবিকতার অভাব বরাবর ছিলো। হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে মানবিকতা বোধের অভাব আজকাল অনেক বেশী চোখে পড়ছে। তবে আগের তুলনায ইদানিংককাল সম্পর্কগুলি আরও বেশি লেনদেনমূলক হয়ে উঠছে যেখানে লাভই মূল উদ্দেশ্য। এর জন্য অমানবিককরণ কমবে না। আরো বাড়বে। যদিও অমানবিককরণই ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের একমাত্র কারণ নয়, এটি তাদের বৃদ্ধি এবং স্থায়ীকরণে অবদান রাখবে।

অতঃকিম? আমি জানি না।

#Bengali #Bangla #MastIndia #MastodonIndians

cc: @bengali_convo @srijit

3
4
5

গণহত্যা

অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী নিজেদের প্রজাতিকে নানা কারণে হত্যা করে। কিন্তু মানুষের মতো নির্মম ভাবে গণহত্যা করা তাদের পক্ষে কি সম্ভব?

আমি এখানে মানুষকে পশুর সঙ্গে এবং পশুকে মানুষের সঙ্গে তুলনা করতে চাই নি। এটা লেখার সময় পাশবিক অত্যাচার উপমাটা মাথায় ছিলো। গণহত্যা অনেকটা কীটনাশক দিয়ে পোকামাকড় মারার মতো। যারা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তারা স্থান, কাল, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, রাজনৈতিক মতবাদ নির্বিশেষে মনুষ্য পদবাচ্য নয়। হয়তো তারা পশুর চেয়েও অধম। গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার পেছনে কোন নৈতিক যুক্তি থাকতে পারে না।

উইকিপিডিয়া থেকে আমরা জানতে পারি যে

গণহত্যার অপরাধের প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশন, বা গণহত্যা কনভেনশন হল একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা গণহত্যাকে অপরাধী করে এবং রাষ্ট্রীয় পক্ষগুলিকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য বাধ্য করে। এটিই ছিল গণহত্যাকে অপরাধ হিসেবে সংহিতাবদ্ধ করার প্রথম আইনি উপকরণ এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় অধিবেশনের সময় ৯ই ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রথম মানবাধিকার চুক্তি। প্রতিজ্ঞাপত্রটি ১৯৫১ সালের ১২ই জানুয়ারী কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত ১৫২টি রাষ্ট্রীয় পক্ষর সমর্থন রয়েছে। গণহত্যা প্রতিরোধ প্রতিজ্ঞাপত্র মূলতঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হিসাবে চিন্তা করা হয়েছিল, যেখানে হলোকাস্টের মতো বর্বরতা ঘটেছিলো এবং যার সঠিক বর্ণনা বা আইনগত সংজ্ঞা ছিল না।

#Bengali #Bangla #MastIndia #MastodonIndians #গণহত্যা

cc: @bengali_convo @srijit

0
1
0